গত বছর বাক-স্বাধীনতার নামে হযরত মুহাম্মাদ (সা) এর ব্যাঙ্গচিত্র রাষ্ট্রীয় মদদে প্রদর্শিত করেছিল ম্যাঁক্র প্রশাসন। এইবার ডোজ পড়ছে তার নিজের উপরই। মিশেল-অঞ্জস ফ্লোগি নামের একজন ব্যবসায়ি ম্যক্রোকে হিটলারের সুরতে একে বিলবোর্ড টানিয়েছে। স্বভাবতই আমরা আশা করবো এই বিলবোর্ড দেখে ম্যাঁক্র বাক-স্বাধীনতার চর্চাকে বাহবা দিবে?
আসলে হইছে উলটা। ম্যাঁক্রো এটারে পাবলিক ইনসাল্ট বলে চিত্রকররে স্যু করছে। মানে মামলা দিসে আরকি। পুলিশ গেছে ফ্লোগির বাড়ি।
মজার ব্যাপার হইলো, সে রয়টার্সকে এক সাক্ষাতকারে কইছে,
when it is a matter of making fun of the president by depicting him as a dictator, then it becomes blasphemy, then it is unacceptable.
Reuters
উরি বাপ্পস! হালায় কয় কী? ব্লাসফেমি?
এই কথাই যখন মুহাম্মাদ (সা) এর ক্ষেত্রে মুসলিম বিশ্ব বলছে সে মানে নাই, উলটা সমর্থন দিসে। এখন যখন দেখলো তার বিরুদ্ধেই ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশনের তির ছোড়া হইছে বেচারা কয় এইডা ব্লাসফেমি। এরেই কয় ডাবল স্ট্যান্ডার্ড।
এখন আপনি কইতে পারেন কই মিশেলের ক ল্লা তো সে ফালায়া দেয় নাই। মামলা করছে খালি। আমিও কই, ফরাসি প্রশাসন ব্যঙ্গকারিদের সাথ না দিলে, আমাদের মামলা করতে দিলে ঐ পথে হয়ত বা কেউ যেত না। ইহুদি অধ্যাপক ড. নরম্যান ফিলকেনস্টাইনের কথা মনে পইড়া গেল:
“যখন কেউ উদ্বাস্তু-অসহায়-সর্বস্বান্ত কোনো মানুষকে ব্যঙ্গ করে, সেটা আর রম্য থাকে না। সেটা হয় ধর্ষকামের মত অসুস্থ মানসিকতা। রম্য আর ধর্ষকামের মাঝে গুরুতর তফাৎ হলো এটা। শার্লে হেবদ্যুর কর্ম এই ধর্ষকামের তুল্য। বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোতে ঘটে চলা নিধন ও ধ্বংসযজ্ঞ বিবেচনা করুন। সিরিয়া, ইরাক, গাজা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইয়েমেন–এর অবস্থা দেখুন। এই করুণ অবস্থায়, এতশত মৃত্য ও ধ্বংসযজ্ঞের যাতনায় পীড়িত দুইজন সর্বহারা ও অসহায় মানুষ মনের ক্ষোভ থেকে পদক্ষেপ নিয়েছে। ড্যা স্টার্মা’র মত শার্লে হেবদ্যুও যখন রাজনৈতিক পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে তাদেরকে অপমানিত, লাঞ্ছিত করে বিমানবিকরণ করে চলছিল, সর্বহারা সেই দুইজন তার প্রতিবাদ করেছে। মনে কষ্ট পেলে দুঃখিত, আমার এই কথা রাজনৈতিক বিচারে অচ্ছুত।”
আজিব ব্যাপার হইলো এই স্যাডিজম বা ধর্ষকামের ধারকরা নিজেদের মুক্তমনা বলে। হাউ স্ট্রেঞ্জ!