“যারা যুক্তি ও বিজ্ঞান নিয়ে নব্য নাস্তিকদের আস্থা ও বিশ্বাসকে প্রচার করে, তারা মূলত নৈতিক দায়ভার ও নাগরিক সংযোগকে এড়িয়ে যেতে চায়। তারা নৈতিকভাবে পঙ্গু মধ্যবিত্তের স্বপ্ন এবং বাসনাকে প্রকাশ করে। তারা বৈজ্ঞানিক ছদ্মবেশের আড়ালে ভোগবাদি সমাজের স্বার্থপর আকাঙ্ক্ষা এবং পেটি বুর্জোয়া শ্রেণীর মৃতপ্রায় প্রাদেশিকতার প্রচারক …
এই নাস্তিকরা হলো শহরতলির বিগড়ে যাওয়া সন্তান। তারা মূলত নৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে দূষিত সমাজের ফসল। যেখানে অতিরিক্ত টিভি দেখা, উন্মত্ত অপব্যায়, অবারিত স্বেচ্ছাচারীতা, অর্থের প্রতি আসক্তি, অতি সংকীর্ণ চিন্তাভাবনা—সমাজের ক্ষতি করে বসেছে। আর তারা হারিয়েছে পবিত্র কিছুর সাথে জুড়ে থাকা আত্মার নাড়ি। অথচ তারা কিন্তু বলে—আমরা ভালো মানুষ, আরও ভাল হয়ে উঠব। তাই আমাদের প্রগতির পথে বাধা হবে না খবরদার! …
ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো যে আমাদের দেশকে অব্যাহতভাবে বলাৎকার ও শ্বাসরোধ করে চলছেএবং আমাদের গণতন্ত্র যে ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে—এসব নিয়ে খ্রিস্টান মৌলবাদি বা নব্য-নাস্তিকেরা কোনো প্রশ্ন করে না। এর কারণ কি?
কারণ হলো তারা একটি বাস্তবতা-বিরোধী ধর্মবিশ্বাসে আবদ্ধ যেখানে আপাতদৃষ্টিতে কল্যাণ নজরে এলেও আদতে না মন্দের আধিক্য ছাড়া কিছু নয়।
Chris Hedges, When Atheism Becomes a religion, p. 85-86 (New York: Free Press, 2009)